পশ্চিমবঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র নদিয়ার প্রান্তিক জনপদ করিমপুরে করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ প্রাঙ্গণে রোববার রাগ মঞ্জরী সংস্থার কর্ণধার ইঞ্জিল সেখের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক অসাধারণ মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সংস্কৃতিপ্রেমী ডা.বাসুদেব মণ্ডল। দর্শকাসনে এলাকার বহু সংগীতপ্রেমী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রথম পর্বে সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা নাচ,গান, আবৃত্তি পরিবেশন করে। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন কলকাতা থেকে আগত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক পণ্ডিত তুষার দত্ত। পণ্ডিত তুষার দত্তকে মানপত্র, ফুলের তোড়া, উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। শিল্পী সুধীর ঘোড়াই, সুব্রত ভট্টাচার্য, নিবেদিতা মণ্ডল ও নবনীতা মণ্ডলের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি ভিন্নমাত্রা পায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রদীপ্ত দাস, মায়া বিশ্বস, জামরুল মণ্ডল ও বিথিন সাহা।
কয়েক দশক ধরে দেশ বিদেশের অগণিত শ্রোতা পণ্ডিত তুষার দত্তর হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত, ভক্তিমূলক গান, জাজ ফিউশন, গজল, ঠুমরী গানে মুগ্ধ। তুষার দত্ত বাংলাদেশের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব অল্প বয়সে দুর্গাপুরের পণ্ডিত বিমল মিত্রের কাছ থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিখতে শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে যোগদান করেছিলেন। তিনি কিরানা ঘরানায় পণ্ডিত এ.কানন ও পণ্ডিত অরুন ভাদুরীর এর কাছ থেকে তালিম নিয়েছিলেন।পণ্ডিত কে জি গিন্ডে ও সুনীল বোস এর কাছ থেকে আগ্রার ঘরানার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে শুভ্রা গুহ এর কাছেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তাঁকে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় বৃত্তিতে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে, ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আয়োজিত খেয়াল প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। মুম্বাই সুর শ্রীনগর সমসদ তাকে “সুরমণি” উপাধি দিয়েছে। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি ,শাস্ত্রীয়, অর্ধ শাস্ত্রীয়, ধ্রুপদ, সুফি গান, ভক্তি, ফিউশন, অর্ধ শাস্ত্রীয় সংগীতের উপর তাঁর অ্যালবাম দেশে-বিদেশে সমাদৃত।
প্রেরক – দীপক সাহা
যোগাযোগ নম্বর – ৯৭৩২৮২৪৮২৮
Leave a Reply